দিবারাত্রির টেস্টে আলোতে অস্ট্রেলিয়া, অন্ধকারে ইংল্যান্ড

মাত্র ৪১ রান এনে দেওয়ার পর ভেঙেছে ওয়ার্নার-হ্যারিস জুটি। তবু যে কন্ডিশনে খেলতে হয়েছে, সে অনুযায়ী এটাই অনেক বড় অর্জন। প্রথম দুই দিনে গোলাপি বল হাতে অত ভয়ংকর মনে হয়নি অ্যান্ডারসন-ব্রডকে। কিন্তু আজ শেষ এক ঘণ্টায় এ দুজনের ওপেনিং স্পেলে বলের মুভমেন্ট ছিল ভয়জাগানো। সেটা সামলে ১৭ ওভারে মাত্র ১ উইকেট হারানোর ক্ষত মেনে নিতে আপত্তি থাকার কথা নয় স্বাগতিকদের।
হাজার হলেও অ্যাশেজে এমনিতেই অস্ট্রেলিয়ার ওপেনাররা বহুদিন ধরে জুটি গড়তে পারছেন না। আজ মাত্র ৪১ রান করেই ২০১৭ সালের পর অ্যাশেজে সর্বোচ্চ রান তুলল অস্ট্রেলিয়ার প্রথম উইকেট। মাঝে ১৫ ইনিংসে ২০ রানও করতে পারেনি কোনো জুটি!
১৩ রানে ওয়ার্নার রানআউট হয়ে যাওয়ার পরও তাই স্মিথের হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। সবচেয়ে বিরুদ্ধ কন্ডিশন পার হয়ে গেছে। কাল প্রথম দুই সেশনে রানের পাহাড় বানিয়ে ইংলিশদের তাতে চাপা দেওয়ার সুযোগ মিলছে তাঁর। আর এবার অ্যাশেজে ইংলিশ ব্যাটিং লাইনআপ যেমন করছে, তাতে ইনিংস এখন ঘোষণা করে দিলেও হয়তো হারবে না অস্ট্রেলিয়া।
এখন পর্যন্ত হওয়া তিন ইনিংসে ইংল্যান্ডের দুজন ব্যাটসম্যানকেই ব্যাট করতে দেখা গেছে—জো রুট ও ডেভিড ম্যালান। তিন ইনিংসে এই দুজন মিলে জুটিতে ৩০০ রান এনে দিয়েছেন। বাকি ২৮ জুটিতে এসেছে ৩৮০ রান। এ তথ্যই তো ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের করুণ দশা সম্পর্কে ইঙ্গিত দেয়।
আজ যেমনটা দেখা গেল। গতকাল দুই ওপেনারকে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। দলকে ১২ থেকে ১৫০ রান পর্যন্ত নিয়ে গেছেন ম্যালান ও রুট। আজ প্রথম সেশনে রীতিমতো অসহায় বানিয়ে রেখেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের। ক্যামেরন গ্রিনের দারুণ এক স্পেল থামাল তৃতীয় উইকেট জুটি। বেশ কিছুক্ষণ ভুগিয়ে রুটকে (৬২) আউট করেছেন গ্রিন। ম্যালানও (৮০) একটু পর মিচেল স্টার্ককে কাট করতে স্লিপে ধরা পড়লেন।
২ উইকেটে ১৫০ রান থেকে ইংল্যান্ড ৬ উইকেটে ১৬৯ হয়ে গেল কিছুক্ষণের মধ্যেই। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ২৩৬ রান তোলার পথে ক্রিস ওকস ২৪ রান করেছেন। প্রায় ১০০ বল খেলে ৩৪ রান করে গ্রিনের বলে বোল্ড হয়েছেন স্টোকস। ৩৭ রানে ৪ উইকেট পেয়ে প্রথম বোলার হিসেবে গোলাপি বল বা দিবারাত্রির টেস্টে ৫০ উইকেটের মালিক হয়েছেন স্টার্ক।